Featured

ScientistSpace

জ্যোতিবিদ চার্লস মেসিয়ার (পর্ব - ২)

, জুন ৩০, ২০১৯ WAT
Last Updated 2021-03-25T05:32:16Z

ফরাসী জ্যোতির্বিদ শার্লে মেসিয়ে (Charles Messier বা চার্লস মেসিয়ার) ছিলেন মূলত ধূমকেতু শিকারী। অনেকগুলো বস্তুকে তিনি এক সময় ধূমকেতু মনে করে তালিকাভূক্ত করলেও পরে জানা যায় এরা ধূমকেতু নয়। তিনি হতাশ হলেন। পরে মুলত এদের পেছনে সময় নষ্ট করা থেকে বাঁচতে এদের একটি তালিকা করলেন। তাঁর হতাশা থেকে উৎপন্ন সেই তালিকার জন্যেই বর্তমানে তিনি বিখ্যাত।
-{জ্যোতিবিদ চার্লস মেসিয়ার (১ম-পর্ব) পড়তে এখানে ক্লিক করুন} বাবা-মায়ের ১২ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন দশম। অল্প বয়সেই তাঁর ৬ জন ভাই-বোন মারা যায়। ১৭৪১ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে হারান বাবাকে। অর্থনৈতিক কারণে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেলেও বাসায় বড় ভাই নিজেই তাকে পড়াতে থাকেন। ১৭৪৪ সালের ছয় লেজ বিশিষ্ট ধূমকেতু এবং ১৭৪৮ সালে তাঁর নিজ শহরে দৃশ্যমান সূর্যগ্রহণ তাঁকে জ্যোতির্বিদ্যার দিকে আগ্রহী করে তোলে। শুরু করে আকাশ দেখা। ২১ বছর বয়সে তিনি ফরাসী নৌবাহিনীর মহাকাশ বিভাগে যুক্ত হন। ১৭৫১ সালে ফরাসী নৌবাহিনীর জ্যোতির্বিদ নিকোলা দেলিসলে তাঁকে তাঁর পর্যবেক্ষণের রেকর্ড রাখার পরামর্শ দেন। তাঁর কথা মত, মেসিয়ে সর্বপ্রথম ১৭৫৩ সালে সূর্যের সামনে বুধ গ্রহের উপস্থিতির রেকর্ড রাখেন।১৭৫৯ সালে তিনি মেরিন অবজারভেটরির প্রধান জ্যোতির্বিদ হন এবং ১৭৭১ সালে নিজেই নৌবাহিনীর জ্যোতির্বিদ যোগ দেন।
১৭৬৪ সালে তিনি রয়েল সোয়াইটির ফেলো মনোনীত হন, ১৯৬৯ সালে হন রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স এর বিদেশি সদস্য। ১৭৭০ সালে যুক্ত হন ফ্রেঞ্চ একাডেমি অব সায়েন্স এর সাথে। অন্য দিকে ধূমকেতুকেও তিনি ভোলেন নি। তিনি ৪০টি নেবুলা ছাড়াও ১৩টি ধূমকেতুও আবিষ্কার করেন। ১৮১৭ সালে, ৮৬ বছর বয়সে শার্লে মেসিয়ে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সম্মানে চাঁদের একটি গর্তের নাম মেসিয়ার এবং একটি গ্রহাণুর নাম ৭৩৫৯ মেসিয়ার রাখা হয়েছে। মুলত তার জ্যোতির্বিদ হওয়ার নেপথ্যে ছিল ধুমকেতুর পিছনে তারা করা । তিনি ধুমকেতুকে খুজতে বের হয়ে খুজে পেলেন অনেক কিছু। তিনি হয়ত জানতেনও না যে তার এই তালিকা কতটা সম্মানীয় হয়ে থাকবে !
জ্যোতিবিদ চার্লস মেসিয়ার (পর্ব - ১) পড়ুন