Featured

StudyTechnology

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং নেটওয়ার্ক টপোলজি

, মে ২১, ২০২০ WAT
Last Updated 2021-03-25T05:32:16Z
নেটওয়ার্ক কি?

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
অনেকগুলো কম্পিউটার কোন এক মাধ্যমে পরস্পর এক সংঙ্গে যুক্ত থাকলে তখন তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। ভৌগোলিক বিসত্মারের ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-



  • পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Personal Area Nerwork-PAN)
  • লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network-LAN)
  • মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropoliton Area Network-MAN)
  • ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক  (Wide Area Network- WAN)


পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক - PAN:

কোন ব্যক্তির নিকটবর্তী বিভিন্ন টেকনোলজী ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এর ব্যপ্তি বা পরিসীমা ১০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ল্যাপটপ, পিডিএ, মোবাইল, প্রিন্টার ইত্যাদি পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ইনফরমেশন ডিভাইস। বাসা, অফিস কিংবা উন্মুক্ত স্থানে পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা যেতে পারে।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক - LAN:

একটি নির্দিষ্ট ভবন বা ক্যাম্পাসে যদি এক বা একাধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কভুক্ত করা হয় তাহলে সেটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network) নামে পরিচিত হবে। এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচেছ ল্যান। ল্যান এর অধীনে কোন একটি ভবনের একই তলায় অবস্থিত সকল কম্পিউটার থাকতে পারে অথবা কোন একটি কোম্পানির একই ভবনের কাছাকাছি ফ্লোরের কম্পিউটার গুলো ল্যানভুক্ত হতে পারে। ছোট-মাঝারি অফিস-আদালত ও ব্যবসা বাণিজ্যে এ নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য থাকে ডিভাইসসমূহের পরষ্পরের মধ্যে তথ্য ও রিসোর্স শেয়ার করা। ছোট-মাঝারি অফিসে ল্যান তৈরি করে প্রিন্টার, মডেম, স্ক্যানার ইত্যাদি ডিভাইসের জন্য সাশ্রয় করা যেতে পারে। সাধারণত কমদামী কেবলের মাধ্যমে ল্যানে বিভিন্ন ডিভাইসকে যুক্ত করা হয়। চিত্রে কয়েকটি কম্পিউটার ক্যাবলের মাধ্যমে হাব নামের একটি ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে সাধারণত হাব দিয়েই ডিভাইসসমূহ সংযুক্ত করা হয়।

মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক - MAN

মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক হচ্ছে কতকগুলো ল্যান নেটওয়ার্ক এর সমন্বয় যা একটি পুরো শহর বা বড় আকারের কোন এলাকাব্যাপী বিসত্মৃত। এক্ষেত্রে ল্যানসমূহ একই শহরে থাকে। এ ধরনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বেশ উচ্চগতিতে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক তাদের তথ্য শেয়ার করতে পারে। প্রধানত বিভিন্ন সরকারি অফিসে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইস সরাসরি নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত, কিন্তু মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্কে প্রতিটি সাইট যুক্ত থাকে নেটওয়ার্কে। এক্ষেত্রে সাধারণত টেলিফোন কোম্পানির ইনস্টলকৃত ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক- WAN :

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক হচ্ছে কতকগুলো কম্পিউটার বা ল্যান এর নেটওয়ার্ক যারা বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত। ওয়ানের আওতায় কম্পিউটারগুলো কেবল একটি শহরেই থাকতে পারে অথবা এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রামেত্ম ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে। WAN এর পুরো বিষয়টি নির্ভর করে ফিজিক্যাল লাইন, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন এর উপর। ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে টেলিফোন লাইন, মাইকো্রওয়েভ বা স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেম  ব্যবহার করা হয়।



নেটওয়ার্ক টপোলজি

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে অবস্থান বিন্যাস বা সংযোগ বিন্যাসকে নেটওয়ার্ক  টপোলজি বলে। 

নেটওয়ার্ক টপোলজি ৬ প্রকার, যথা -


  • বাস টপোলজি (Bus Topology)
  • স্টার টপোলজি (Star Topology)
  • রিং টপোলজি (Ring Topology)
  • ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
  • মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
  • হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology)

স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজি

স্টার টপোলজিতে সব কম্পিউটারগুলি একটি কেন্দ্রীয় স্থানে যুক্ত থাকে। এই সেন্ট্রাল নেটওয়ার্ক লোকেশনে থাকে একটি ডিভাইস যাকে বলা হয় কনসেনট্রেটর বা হাব (Hub)। কোন কম্পিউটার সরাসরি অন্য কম্পিউটারে ডাটা পাঠাতে পারে না।

কোন কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারে ডাটা পাঠাতে প্রথমে তা হাবের কাছে পাঠায়। হাব সেই ডাটা সব কম্পিউটারে কিংবা গমত্মব্য কম্পিউটারের নিকট পাঠায়।

‌স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজির সুবিধাঃ

নেটওয়ার্কে কোন কম্পিউটার নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কের অন্য অংশের কাজের কোন ব্যঘাত ঘটে না ।

হাব বা সুইচ ছাড়া নেটওয়ার্কের অন্য কোন অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও নেটওয়ার্ক সচল থাকে ।

একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা যায়।

নেটওয়ার্কে কোন নতুন সংযোগ বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময়ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম সচল থাকে।

কেন্দ্রীয়ভাবে নেটওয়ার্ক রক্ষনাবেক্ষন বা সমস্যা নিরূপন সহজ।


স্টার নেটওয়ার্ক  টপোলজির অসুবিধাঃ

হাব বা সুইচ খারাপ হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে ।

স্টার টপোলজিতে প্রচুর পরিমানে ক্যাবল প্রয়োজন হয় বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।


রিং নেটওয়ার্ক টপোলজিঃ

এক্ষেত্রে কম্পিউটারগুলি নোড (কম্পিউটার যে বিন্দুতে যুক্ত থাকে তাকে নোড বলে) এর মাধ্যমে বৃত্তাকার পথে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। এভাবে সর্বশেষ কম্পিউটারটি প্রথমটির সাথে যুক্ত থাকে। এ ধরনের টপোলজিতে প্রতিটি ডিভাইসে একটি রিসিভার এবং একটি ট্রান্সমিটার থাকে যা রিপিটারের (Repeater) কাজ করে। এক্ষেত্রে রিপিটারের দায়িত্ব হচ্ছে সিগন্যালকে একটি কম্পিউটার থেকে তার পরের কম্পিউটারে ট্রান্সফার করা।

রিং নেটওয়ার্ক টপোলজির সুবিধাঃ

ডেটা পাঠানোর জন্য প্রত্যেক কম্পিউটার সমান অধিকার পায় বিধায় নেটওয়ার্কে কোন কম্পিউটার একচ্ছত্র আধিপত্য বিসত্মার করতে পারে না ।

নেটওয়ার্কে কোন সার্ভারের প্রয়োজন হয় না ।

প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে নতুন সংযোগ দেওয়া যায় এবং এতে নেটওয়ার্কের দক্ষতার খুব বেশী প্রভাব পড়ে না ।


রিং নেটওয়ার্ক টপোলজির অসুবিধাঃ

রিং নেটওয়ার্ক টপোলজিতে একটি কম্পিউটার সমস্যায় আক্রামত্ম হলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।

রিং নেটওয়ার্ক টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে কোন সমস্যা নিরূপন করা জটিল।

নেটওয়ার্কে কোন কম্পিউটার সংযোগ বা অপসারন করার সময় নেটওয়ার্কের কার্যক্র্ম ব্যাহত হয়।

রিং নেটওয়ার্ক টপোলজি নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে এর ট্রান্সমিশন সময়ও বেড়ে যায়।

রিং নেটওয়ার্ক টপোলজির জন্য জটিল নিয়ন্ত্রন সফট্ওয়ার প্রয়োজন হয় ।

বাস নেটওয়ার্ক টপোলজিঃ

বাস টপোলজিতে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সবগুলি কম্পিউটার (নোড) যুক্ত থাকে। এখানে সংযোগ লাইনকে সাধারণত বাস বলা হয়। যখন একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের উদ্দেশ্য মেসেজ পাঠায় তখন সেই মেসেজ সিগনাল সংযোগ লাইনের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে অন্য সবকটি কম্পিউটারের নিকট পৌঁছে। অন্যান্য কম্পিউটার সেই মেসেজ পরীক্ষা করে এবং কেবলমাত্র প্রাপক কম্পিউটার সেই মেসেজ গ্রহণ করে। বাস টপোলজিতে কেবল একসাথে একটি কম্পিউটার মেসেজ পাঠাতে পারে। কোনো কম্পিউটার যখন মেসেজ পাঠায়, তখন তার পাঠানো শেষ না হওয়া পর্যমত্ম অন্যদের অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য এ নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বেড়ে গেলে পারফরম্যান্সের অবনতি ঘটে।

বাস নেটওয়ার্ক টপোলজির সুবিধাঃ

নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারের কাজ করতে কোন অসুবিধা হয় না ।

বাস নেটওয়ার্ক টপোলজিতে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয় ফলে খরচ কম হয়।

বিএনসি ব্যারেল কানেক্টটর দিয়ে জোড়া লাগিয়ে সহজেই বাস যুক্ত করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন করা যায়।

বাস সম্প্রসারনের জন্য প্রয়োজনে রিপিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে সিগনালের মান বাড়ে এবং সিগনাল আরও দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।

বাস নেটওয়ার্ক টপোলজির কোন কম্পিউটার সংযোগ বা অপসারন করার সময় পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্র্ম ব্যাহত হয় না ।

বাস নেটওয়ার্ক টপোলজির অসুবিধাঃ

নেটওয়ার্কে কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়লে প্রচন্ড ট্রাফিক সৃষ্টি হয় এবং ডেটা ট্রান্সমিশন বিঘ্নিত হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশনে কোন সমন্বয়ের ব্যবস্থা নেই ফলে যে কোন কম্পিউটারে ডেটা পাঠাতে পারে, এর ফলে নেটওয়ার্কে প্রচুর ব্যান্ডউইথ নষ্ট হয়।

বিএনসি ব্যারেল কানেক্টটর প্রবাহিত সিগনালকে দূর্বল করে ।

এই টপোলজির সৃষ্ট সমস্যা নিরূপন করা জটিল।

মেশ বা পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক টপোলজিঃ

মেশ নেটওয়ার্ক  টপোলজিতে নেটওয়ার্কে  অবস্থিত সকল কম্পিউটার একে অপরের সাথে সরাররি বা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকে।


পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক টপোলজির সুবিধাঃ
যে কোন দুটি নোডের মধ্যে দ্রম্নত গতিতে সংকেত আদান-প্রদান করা যায়।
কোন কম্পিউটারের সংযোগ লাইন নষ্ট হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল হয় না ।
এতে ডেটা কমিউনিকেশনে অনেক বেশি নিশ্চয়তা থাকে।
নেটওয়ার্কে কোন সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা যায়।

মেশ নেটওয়ার্ক  টপোলজির সুবিধাঃ

এই টপোলজিতে নেটওয়ার্ক ইনস্টলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল।
ক্যাবল বেশি লাগে ফলে খরচ বেশি্।


ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজিঃ

মূলত স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপই হল ট্রি টপোলজি। এই টপোলজিতে একাধিক হাব ব্যবহার করে সমস্থ কম্পিউটারকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে রম্নট বলে। সমস্থ কম্পিউটার একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার বা সার্ভার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয়।

‌ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজির সুবিধাঃ

নতুন ব্রাঞ্চ সৃষ্টির মাধ্যমে ট্রি টপোলজির নেটওয়ার্ক সহজেই সম্প্রসারন করা যায় ।

অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই ধরনের নেটওয়ার্ক বেশ উপযোগী ।

এই নেটওয়ার্কে নতুন কোন কম্পিউটার সংযোগ বা অপসারন করার সময় পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্র্ম ব্যাহত হয় না ।


ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজির অসুবিধাঃ

রম্নট বা সার্ভার কম্পিউটারে কোন ত্রম্নটি দেখা দিলে নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়।
অন্যান্য টপোলজির তুলনায় ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজি সংগঠন জঠিল ।


হাইব্রিড নেটওয়ার্ক  টপোলজিঃ

বাস, স্টার, রিং ইত্যাদি নেটওয়ার্ক টপোলজির সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজি বলে। ইন্টারনেট একটি হাইব্রিড নেটওয়ার্ক কেননা এত প্রায় সব ধরনের টপোলজির সমন্বয় ঘটে।


আরো পড়ুন - 



Related search: Data communication, data transmission, data transmission speed, data transmission channel, data transmission methods, data, communication, transmission, speed, channel, method, methods, data communication pdf, data transmission pdf, data transmission speed pdf, data transmission channel pdf, data transmission method pdf, data transmission methods pdf, data communication pdf download, ICT, hsc, hsc ict pdf, hsc ict pdf download, ict data communication, ডেটা কমিউনিকেশন পিডিএফ, ডেটা ট্রান্সমিশন পিডিএফ, এইচএসসি, এসএসসি, আইসিটি, optical fiber cable, optic fiber, optical fiber pdf download, co-axial cable, pair cable, twisted pair cable, twisted cable, wifi, wimax, wifi-wimax, wifi vs wimax, mobile phone, telephone, system, mobile telephone system, মোবাইল সিস্টেম, 1g, 2g, 3g, 4g, 5g, ১জি, ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি , প্রযুক্তি, tropology, tree tropology, network topology,