Featured

StudyTechnology

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ও কো-এক্সিয়াল, টুইস্টেড পেয়ার এবং অপটিকাল ফাইবার ক্যাবল

, মে ২১, ২০২০ WAT
Last Updated 2021-03-25T05:32:16Z

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড (Data Transmission mode)

কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ডেটা আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ডেটার প্রবাহকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়।
ডেটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সফার মোড কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

  • সিমপ্লেক্স (Simplex)
  • হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
  • ফুল -ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
সিমপ্লেক্স মোডঃ
কেবলমাত্র এক দিকে ডেটা প্রেরনের মোড বা প্রথাকে সিমপেস্নক্র্ মোড বলে। এই মোডে কেবলমাত্র ক হতে খ এর দিকে ডেটা প্রেরন করা যাবে। কিন্তু খ হতে ক এর দিকে ডেটা প্ররন করা যাবে না । অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় ডেটা গ্রহন বা প্রেরন যে কোন একটি সম্ভব। যে প্রামত্ম ডেটা গ্রহন করবে সে প্রামত্ম ডেটা প্রেরন করতে পারবে না এবং যে প্রামত্ম ডেটা প্রেরন করবে সে প্রামত্ম গ্রহন করতে পারে না । উদাহরন-রেডিও, টিভি ।

হাফ-ডুপ্লেক্স মোডঃ
এই ব্যবস্থায় উভয় দিকে ডেটা প্রেরনের ব্যবস্থা থাকে তবে একই সময়ে উভয় দিকে ডেটা প্রেরন সম্ভব নয় । যে কোন প্রামত্ম একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহন বা প্রেরন করতে পারে। কিন্তু কোন প্রামত্ম একই সময়ে ডেটা গ্রহন এবং প্রেরন করতে পারে না । এই ব্যবস্থায় ক যখন ডেটা প্রেরন করবে খ তখন মাত্র গ্রহন করতে পারবে, প্রেরন করতে পারবে না । ক এর প্রেরন প্রক্রিয়া শেষ হলেই খ ডেটা প্রেরন করতে পারবে। অনুরূপভাবে খ এর ডেটা প্রেরন প্রক্রিয়া চলাকালীন ক কেবলমাত্র ডেটা গ্রহন করতে পারবে। উদাহরন - ওয়াকি টকি।

ফুল -ডুপ্লেক্স মোডঃ
এই ব্যবস্থায় উভয় দিকে একই সময়ে ডেটা প্রেরন সম্ভব। যে কোন প্রামত্ম প্রয়োজনে ডেটা প্রেরন করার সময় ডেটা গ্রহন কিংবা ডেটা গ্রহনের সময় ডেটা প্রেরন করতে পারে। ক যখন খ এর দিকে ডেটা প্রেরন করবে, খও তখন ক এর দিকে ডেটা প্রেরন করতে পারবে। উদাহরন - টেলিফোন, মোবাইল।


কো-এক্রি্য়াল ক্যাবল (Co-axial cable)

কো-এক্রি্য়াল ক্যাবল সুপরিবাহী এবং অপরিবাহী পদার্থের সাহায্যে তৈরি। কো-এক্রি্য়াল ক্যাবলের কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করে একটি সলিড কপার তার। কেন্দ্রর পরিবাহী তারকে আচ্ছাদিত করার জন্য এবং বাহিরের পরিবাহী থেকে পৃথক করার জন্য এদের মাঝখানে অপরিবাহী পদার্থ থাকে। বাহিরের পরিবাহককে পস্নাস্টিক জ্যাকেট দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে।

কো-এক্রি্য়াল পেয়ার (Co-axial pair cable) ক্যাবলের সুবিধাঃ
অ্যানালগ ও ডিজিটাল ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহার করা যায়।
ফাইবার অপটিক থেকে এর দাম কম।
অপেক্ষাকৃতবেশি দূরত্বে ডাটা ট্রান্সমিশন করা যায়।
কো-এক্রি্য়াল ক্যাবলের অসুবিধাঃ
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল অপেক্ষাদাম বেশি।
বিভিন্ননেটওয়ার্ক ডিভাইস এর সাথে সংযোগ করা কঠিন।
ফাইবার অপটিক অপেক্ষা ডাটা ট্রান্সফার গতি কম।


টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Twisted Pair Cable)


একটি টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে মূলত চারটি বা আটটি পৃথক কপার ওয়্যার, যেগুলো প্রত্যেকটিই নিজস্ব পস্নাস্টিক আবরণে আবৃত থাকে। ওয়্যারের প্রত্যেক জোড়া পরস্পরের সংঙ্গে টুইস্টেড বা প্যাচানো অবস্থায় থাকে। প্যাচানো সবগুলো ওয়্যার আবার একসাথে আরেকটি পস্নাস্টিক আবরণে আবৃত থাকে। এই ক্যাবল অ্যানালগ এবং ডিজিটাল সংকেত প্রেরণের জন্য এই ধরনের তার ব্যবহার করা হয়। যেমন-টেলিফোন লাইনে।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল আবার দুই ধরনের। যথা :

  • আবরণহীন টুইস্টেড পেয়ার বা UTP (Unshielded Twisted Pair)
  • আবরণযুক্ত টুইস্টেড পেয়ার বা STP (Shielded Twisted Pair)
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের সুবিধাঃ
ইহা দামে সসত্মা
ইনস্টলেশন সহজ।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের অসুবিধাঃ
সাধারনত ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে ডাটা প্রেরনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ডাটা ট্রান্সফার গতি কম।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের (Fiber Optic Cable) গঠন

অপটিকাল ফাইবার এক বিশেষ ধরনের ক্যাবল বা তার যার মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রিক সংকেতের পরিবর্তে আলোক সংকেত প্রবাহিত হয়। আলোর পূর্ন অভ্যমত্মরিন প্রতিফলন ধর্ম ব্যবহার করে এই ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে আলোক সংকেত প্রেরন করা হয়। বিভিন্ন প্রতিসরাংকের ডাই-ইলেকট্রিক স্বচ্ছ পদার্থ দিয়ে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল গঠিত।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।

কোর (Core) ঃ ক্যাবলের সবচেয়ে ভিতরে আলোক সিগনাল সঞ্চালনের জন্য যে পদার্থ থাকে যাকে কোর বলা হয়। এই কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রো্ন হয়ে থাকে।
ক্ল্যাডিং (Cladding) ঃ কোরের ঠিক বাহিরের স্থরটি যা কোর থেকে নির্গত আলোক রশ্মি প্রতিফলিত করে পুনরায় কোরে ফেরত পাঠায় তাকে ক্ল্যাডিং বলে।
জ্যাকেটঃ (Jacket) ক্যাবলের একেবারে উপরে একটি অপরিবাহী পদার্থের আবরন থাকে থাকে জ্যাকেট বলে।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের বৈশিষ্ট্যঃ

  • ফাইবার অপটিক ফাইবার ক্যাবল ইলেকট্রিক সিগনালের পরিবর্তে লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট করে।
  • এর ডাটা ট্রান্সফার গতি প্রায় আলোর গতির সমান।
  • এই ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে গিগাবাইট রেঞ্জ বা তার বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করতে পারে।
  • নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসাবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল বহুল ব্যবহৃত হয়।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সুবিধাঃ

ফাইবার অপটিক ক্যাবলে ডাটা ট্রান্সমিশন গতি অনেক বেশি।
এই ক্যাবল আকারে ছোট ।
ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ওজন অনেক কম।
এই ক্যাবলের শক্তি ক্ষয় হয় কম।
ফাইবার অপটিক ক্যাবল চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত।
তাপ, চাপ ইত্যাদির প্রভাবে ডাটা আদান-প্রদান বাধাগ্রস্থ হয় না।
এর ব্যবহারে ডেটা সংরক্ষণে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষা সহজ।

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের অসুবিধাঃ
ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে খুব বেশি বাঁকানো যায় না। তাই যেখানে ক্যাবল বেশি বাঁকানো দরকার সেক্ষেত্রে এই ক্যবল ব্যবহার করা যায় না।
এই ক্যাবল বেশ ব্যয়বহুল ।
এই ক্যাবল স্থাপন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য দক্ষ এবং কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন জনবল প্রয়োজন।

আরো পড়ুন - ডেটা কমিউনিকেশন, ট্রান্সমিশন স্পীড

Related search: Data communication, data transmission, data transmission speed, data transmission channel, data transmission methods, data, communication, transmission, speed, channel, method, methods, data communication pdf, data transmission pdf, data transmission speed pdf, data transmission channel pdf, data transmission method pdf, data transmission methods pdf, data communication pdf download, ICT, hsc, hsc ict pdf, hsc ict pdf download, ict data communication, ডেটা কমিউনিকেশন পিডিএফ, ডেটা ট্রান্সমিশন পিডিএফ, এইচএসসি, এসএসসি, আইসিটি, optical fiber cable, optic fiber, optical fiber pdf download, co-axial cable, pair cable, twisted pair cable, twisted cable,