গত ২৩ মে ছিল বিজ্ঞানী স্যার জন বার্ডিনের জন্মদিন। আজ আমরা স্যার জর্জ সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করব।
* বিজ্ঞানের জগতে নোবেল হল অনেক সম্মানের পদক, সাধারণ অল্প কয়েক জন বিজ্ঞানী এই পদক অর্জন করেছেন। কিন্তু এই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীদের মাঝে একজন কে সহজে আলাদা করা যায়। আপনারা হয়তো সবাই তাকে চিনেন। তিনি হলেন জর্জ বার্ডিন। তিনি ছিলেন একজন সফল পদার্থ বিজ্ঞানী। পৃথিবীর একমাত্র বিজ্ঞানী হিসেবে তিনিই একই বিষয়ে ২বার নোবেল পুরস্কার বিজয়ের সম্মান অর্জন করেছেন। ১৯৫৬ সালে প্রথমবার তিনি নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন ট্রানজিস্টর আবিষ্কারে তার অবদানের জন্য। এই ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তিনি ‘সুপারকন্ডাকটিভিটি থিওরি’ থিওরি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য ১৯৭২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে পুনঃরায় নোবেল অর্জন করেন।
সুপারকন্ডাকটিভিটি থিওরিঃ- সুপারকন্ডাক্টিভিটীকে সফলভাবে ব্যাখ্যা করেন তিনজন বিজ্ঞানী তাদের মধ্যে জন বার্ডিন অন্যতম, সুপারকন্ডাক্টিভিটী প্রদান কারী অন্য দুজন বিজ্ঞানী হলেন- লিওন কুপার ও জন রবার্ট শ্রীফার। তাঁদের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে এই বিখ্যাত তত্ত্বকে ডাকা হয় বি. সি. এস. তত্ত্ব নামে। তত্ত্বটি পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে। এর আগে অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মাথা ঘামিয়েছেন সুপারকন্ডাক্টিভিটীর জট ছাড়াতে। তাঁদের অবদানও এই আবিষ্কারের ইতিহাসে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
আজ বি.সি.এস. তত্ত্ব সম্পর্কে সামান্য কিছু জানার চেষ্টা করব। যেহেতু আমি বি.সি.এস.তত্ত্ব সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম।
" বি. সি. এস. তত্ত্ব অনুযায়ী দুটি ইলেক্ট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বল – সুপারকন্ডাক্টিভিটীর উৎস !"
বি. সি. এস. তত্ত্ব অনুযায়ী সুপারকন্ডাক্টিভিটীর জন্ম হয় যখন ইলেক্ট্রনরা একে অপরকে আকর্ষণ করে। শুনে অনেকে হয়ত আশ্চর্য হচ্ছেন! আমরা চিরকাল জেনে এসেছি যে দুটো ইলেক্ট্রনের মধ্যে কুলম্বের সূত্র অনুযায়ী বিকর্ষণ বল কাজ করে। আকর্ষণ এলো কোথা থেকে? আসলে কঠিন পদার্থের ভেতর ইলেক্ট্রন ও আয়নের যোগাযোগের ফলে ইলেক্ট্রনদের মধ্যে আপাতভাবে এক আকর্ষণী বলের সৃষ্টি হয়।
আয়নরা ইলেক্ট্রনদের তুলনায় বহুগুণ বেশি ভরশালী এবং ইলেক্ট্রনদের চেয়ে অনেক মন্থরগতিতে নড়াচড়া করে। একটা ইলেক্ট্রন যখন দ্রুতগতিতে আয়নের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাদের বিপরীত আধান বা চার্জের দরুণ আয়ন ঝুঁকে পড়ে ইলেক্ট্রনের দিকে।
খানিক বিকৃতি সৃষ্টি হয় আয়নদের সারিতে, যার ফলে এক জায়গায় বেশিমাত্রায় ধনাত্মক আধান বা পজিটিভ চার্জের প্রভাব ঘটে। দ্বিতীয় আরেকখান...(চলবে)
- নাজমুল হাসান