Featured

Story

রাইট ব্রাদার্স ও উড়োজাহাজ আবিষ্কারের গল্প

, জুন ১৮, ২০১৯ WAT
Last Updated 2021-03-25T05:32:16Z

 উইলবার অরভিলের মা সুসান রাইট পাখি ডাকলেই বলে দিতে পারেন কোন পাখি ডাকছে। উইল আর অরভও পাখি চিনতে শিখেছে। একদিন সবাই বসেছিল বাড়ির কাছে এক নদীর ধারে। উইলবার অরভিল মাছ ধরছিলো। কিন্তু একটা মাছও তাদের ফাঁদে আসছিলো না। হঠাৎ একটা প্রকাণ্ড পাখি ছোঁ মেরে নদীতে নামলো। এরপরে ছােট্ট একটা মাছ মুখে নিয়ে উঠে এল।
ছোট্ট উইলবার জানতে চাইলো, মা, পাখিরা কিভাবে ওড়ে?
মা বললেন, পাখিরা ডানা নেড়ে নেড়ে উড়ে।
উইলবার কিন্তু নাছোড়বান্দা। সে বললো, এইমাত্র যে পাখিটা ছোঁ মেরে মাছ নিয়ে গেলো সে তো একটুও ডানা নাড়ল না।
মা হেসে বললেন, বাতাস যেমন তোমার দিক থেকে অন্য দিকে যায়, আবার অন্য দিক থেকে তোমার দিকে আসে, তেমনি উপর নিচেও ওঠানামা করে। এই কারণে পাখির ডানা পাখিকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখে।
সুসান রাইট তার ছেলেমেয়েদের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তাদের কোন কাজে বাধা দিতে চাইতেন না।
সেইবার পিকনিক থেকে বাড়িতে ফেরার সময় তারা সবাই বছরের প্রথম তুষার ঝড়ের মুখে পড়লো। এত জোরে বাতাস বইছিলো যে, মনে হচ্ছিলো সবাইকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। মা বললেন, এ রকম অবস্থায় সামনের দিকে ঝুঁকে পড়তে হয়। সামনে ঝুঁকে পড়লে মাটির কাছাকাছি, বাতাসের নিচে চলে এলে। তাহলে আর বাতাসের জোর তেমনভাবে থাকবে না।
শীতকালে সব ছেলেরাই পাহাড়ে বরফের উপর দিয়ে স্লেড চালানোর খেলা খেলতো। স্লেড হলাে বরফের ওপর দিয়ে চালাবার চাকাবিহীন এক রকমের গাড়ি। বেশিরভাগ ছেলের বাবাই স্লেড তৈরি করে দিতেন। উইলবার আর অরভিলের বাবা বেশিরভাগ সময়ে বাইরেই কাজে ব্যস্ত থাকতেন। তাই তাদের নিজস্ব কোন স্লেড ছিলো না।
একটু বড় হওয়ার পর এমনই এক শীতকালে উইলবার আর অরভিল মনমরা হয়ে অন্য ছেলেদের স্লেড চালানো দেখছিলো। সুসান রাইট তা লক্ষ করে বললেন, চলো! আমরা নিজেরাই স্লেড বানিয়ে ফেলি।
উইলবার আর অরভিল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, তা কিভাবে হবে। মা এক টুকরো কাগজ, পেন্সিল আর স্কেল নিয়ে স্লেডের একটা নকশা এঁকে ফেললেন।
উইলবার আর অরভিলের তখনও নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। মা বললেন, অন্যদের স্লেড মাটি থেকে এক ফুট উঁচু, তাই না? আমাদেরটা থাকবে মাটির কাছাকাছি, অন্যগুলোর থেকে নিচু। তাহলে বাতাসের ঝাপটা লাগবে কম, স্লেড চলবে দ্রুত।
রাইট ভাইদের তখন গত সপ্তাহের তুষার ঝড়ের কথা মনে পড়লো। এভাবেই বায়ুর চাপ সম্পর্কে প্রথমবারের মত জানতে পারলো তারা।
সেইবার রাইট ভাইদের স্লেডই সব থেকে দ্রুত চললো। হঠাৎ করে উইলবারের মাথায় এক বুদ্ধি এলো। সে দেখলো, স্লেডকে চাইলে যেদিকে খুশি সেদিকে নেওয়া যায় না। যদি নৌকার মতো এটাতেও হাল তৈরি করে নেওয়া যায়, তাহলে ডানে-বাঁয়ে যেভাবে ইচ্ছে একে চালানো যাবে।
তাদের বাবাকে এই কথা বলার পরে তিনি অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, স্লেডের হাল থাকে, এই কথা কে কোথায় কবে বললো। উইল বললো, স্কুলের বইতে নৌকার ছবি দেখে তার মাথায় এটি আসে।
শুধু মুখের কথা নয়, রাইট ভাইরা ততক্ষণে নকশাও এঁকে ফেলেছে। তারা বড় এক টুকরাে কাগজ এনে বাবাকে দেখালো, হালের অনেকগুলাে নকশা তারা এঁকেছে, তার ভেতরে একটা সবচেয়ে ভালাে হয়েছে।

রেভারেন্ড রাইট কাগজটি হাতে নিয়ে হালের নিখুঁত নকশাটি নিয়ে দেখতে থাকেন। পেন্সিলে ছােট্ট করে মাপের অংক বসানাে রয়েছে। কাঠ দিয়ে তৈরি হবে হাল। লােহার দুটো আংটা দিয়ে হালটি লাগানাে হয়েছে স্লেডের পেছন দিকে।
এরপরে গোলাবাড়িতে বসে দুই ভাই মিলে বাবার যন্ত্রপাতি দিয়ে সত্যিই স্লেডের হাল বানিয়ে ফেললো।
একবার উইলবার আর অরভিল মিলে নিজেরাই ঘুড়ি বানাতে চেষ্টা করলো।প্রথমে তারা অনেকগুলাে ঘুড়ি তৈরির উপযােগী কাঠ জোগাড় করলো। তৈরি হলাে ঘুড়ির কাঠামাে এবং তারপরে তা ছাওয়া হলাে পাতলা কাগজ দিয়ে।
পরের দিন ভাের ছয়টায় রাইট ভাইরা বিগ হিলে হাজির হলো। তখন বেশ বাতাস। ঘুড়িটাও বেশ দ্রুত উপরে উঠে গেলো। যে-ই না বাতাস কমে গেলো, ঘুড়ি মুখ থুবড়ে পড়লো। ঘুড়ি উদ্ধার করার পর দেখা গেলো কাগজ ছিঁড়ে গেছে আর কাঠও এমনভাবে ভেঙ্গেছে যে তা আর লাগাবার কোনাে উপায় নেই।
রাইট ভাইরা খুব মন খারাপ করলো। এরপরই ভুল কোথায় হয়েছে তা জানতে উঠে পড়ে লাগলো। অরভ বলল, নিশ্চয়ই নকশা আঁকতে ভুল হয়ে থাকবে।কিন্তু নকশা পরীক্ষা করে দেখা গেলো কোথাও কোনাে ত্রুটি নেই। অরভ হঠাৎ চিন্তা করলো, ঘুড়ি কেন গোত্তা খেয়ে নিচে পড়ে?
এরপরই তাদের মাথায় এলো সব সময় বাতাস একইভাবে বয় না। যতক্ষণ বাতাস জোরে ছিলো, ততক্ষণ ঘুড়ি ঠিকভাবে উড়ছিলো, বাতাস কমে যাওয়ার পরে ঘুড়ি গোত্তা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। তার মানে ঘুড়িটা পর্যাপ্ত বাতাস পায়নি বলেই পড়ে গিয়েছিলো।
রাইট ভাইরা এরপরে ঘুড়ির পেটের বাঁধ একটু ঢিলে করে দিলো। বাতাস কমে গেলেও ওতে বাতাস আটকে গেলো। তারপর ঘুড়িতে লম্বা লেজ আর খাটো লেজের পরীক্ষা করেও দেখলো।
বিদেশ থেকে ফেরবার সময় উইল আর অরভের বাবা প্রায়ই কিছু-না-কিছু উপহার নিয়ে ফিরতেন। একবার নতুন ধরনের একটা খেলনা নিয়ে এলেন। তার নাম ‘হেলিকপটার’। বাঁশ আর পাতলা কাগজ দিয়ে তৈরি আজব এক জিনিস। ফড়িং-এর পাখার মতাে দু’টো পাখা এর দুই পাশে লাগানাে, সঙ্গে এক টুকরাে লম্বা রবার। দড়ির মতাে করে তা জড়াতে হয়।
উইল আর অরভ অবাক হয়ে দেখলো, তাদের বাবা রবারটা জড়িয়ে খেলনাটা ছেড়ে দিতেই সেটা প্রায় পনের ফুটের মতাে উপরে উঠে মাটির উপর এসে পড়ল। দুই ভাই আনন্দে চিৎকার করে উঠলো। তারা দুইজন রবারটা জড়িয়ে খেলনাটা কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখল। ছেড়ে দিতেই সেটা পাখির মতাে উড়ে যায়।
উইল আর অরভ চিন্তা করতে লাগলো, কেন এটা উপর দিকে উঠেছে? তারা লক্ষ করল, খেলনাটা উপরে উঠবার সময় এঁকেবেঁকে এদিক-ওদিক যায়।
উইল তাই দেখে বলল, উপরে উঠবার সময় এটা বাতাসের গায়ে গর্ত খুড়ে পথ বানায়। অরভ বলল, অথবা বাতাস সরিয়ে জায়গা করে নেয়, নৌকা যেভাবে পানিকে ঠেলে সরিয়ে চলে।
সেই সময়ে তারা জানতো না, কিভাবে দিন দিন দুইজন মিলে পৃথিবী বিখ্যাত এক আবিষ্কারের দিকে এগিয়ে চলছে!
উড়োজাহাজ আবিষ্কারের ইতিহাস
১৮৯৬ সাল। অরভিল মারাত্মক টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হল। ভাইয়ের মন ভালো করার জন্য উইলবার নতুন করে কিছু বই কিনে আনলো। তার মধ্যে একটি বই ছিল অটো লিলিয়েনথলের লেখা। বইটির নাম এক্সপেরিমেন্ট ইন সোরিং।
বইটি পড়ে রাইট ভাইরা জানতে পারে, অটো লিলিয়েনথল এমন একটি ঘুড়ি তৈরি করেছিলেন, যা তাকে শুদ্ধ আকাশে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। তার ঘুড়িটি বানানো হয়েছিলো পাখির ডানার মতো করে।
রাইট ভাইরা জানতে পারলো, পাহাড়ের চূড়া থেকে অটো লিলিয়েনথল উড়তে আরম্ভ করেন। সেখান থেকে বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায় উপত্যকার উপর। প্রায় মিনিটখানেক বাতাস যতক্ষণ ঠিক ছিল, ততক্ষণ তিনি উড়েছেন।
অরভ তা শুনে বললো, বাতাসের উপর নির্ভর করে নয়, নিজের খুশি মতাে যতক্ষণ উড়তে না পারা যাচ্ছে ততক্ষণ ঠিক উড়তে পেরেছে বলা যায় না।
যা হোক,বইটির শেষে লেখা ছিল যারা এই সংক্রান্ত আরো বই পেতে চায় তাদের লিখতে হবে ওয়াশিংটনের স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউশনের প্রফেসর স্যামুয়েল ল্যাংলির কাছে।
চিঠি লেখার পরে সত্যিই এক গাদা ছোট ছোট বই এসে হাজির হলো তাদের নামে। সেখানে আকাশে ওড়া সম্বন্ধে অনেক লেখা আছে। তারা খোঁজ নিল অটো লিলিয়েনথল ছাড়াও স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউটের ল্যাংলি, অকটেভ চেনিউট, হিরাম ম্যাকসিম নামে এক ভদ্রলোক আকাশে ওড়ার চেষ্টা করছেন।
এই গবেষণা গ্রন্থগুলো পড়তে গিয়ে তারা টের পেলো ফিজিক্স, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রাথমিক জ্ঞান প্রয়োজন। এরপরে লেখাপড়া এগিয়ে চললো সেদিকে…
উড়োজাহজের মডেল তৈরির কাজ শুরু হলো।
এরপরে তারা প্রথমবার ঠিক করলো একটা উড়ো মেশিন তৈরি করবে। সেজন্য প্রথমে তৈরি করতে হবে একটা গ্লাইডার। তারপর অটো লিলিয়েনথল যা কিছু করেছেন তার সবকিছু জানতে হবে। তারপর শিখতে হবে ইঞ্জিনের বিষয়ে। অবশেষে ইঞ্জিন আর গ্লাইডার এক করতে হবে।
পরদিন তারা তাদের গ্লাইডারের নকশা আঁকার কাজে লেগে গেল। অরভ চিন্তা করলো,পরীক্ষার কাজটা এখানে চালানো যাবে না। লােকে হাসাহাসি করবে। তাছাড়া চারদিকে রয়েছে গাছ আর পাহাড় । উড়লেই হয়তাে গ্লাইডার নিয়ে গাছের উপরে গিয়ে পড়তে হবে । তাই এমন একটি জায়গা খুঁজে বের করা দরকার যেখানে গাছপালা নেই এবং একটানা গতিতে বাতাস পাওয়া যাবে। সেই সাথে পাহাড় ও নরম মাটিরও দরকার।
তারা এরকম জায়গা কোথায় আছে তা জানতে স্মিথসনিয়ান ইনস্টিটিউটে চিঠি লিখলো।প্রফেসর ল্যাংলি সেই চিঠি পাঠালেন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া তত্ত্বের অফিসে। তারা অরভকে কয়েকটা জায়গার নাম লিখে পাঠাল। এর মধ্যে নর্থ ক্যারোলিনার কিটি হক জায়গাটা তাদের পছন্দ হলো।
রাইট ভাইদের গ্লাইডারটা ছিল মস্ত একটা বাক্স ঘুড়ির মতাে। তার উপরে একটা পাখা, নিচে একটা। একজন গ্লাইডারে উঠে বসলে আর দুইজন লােকের দরকার হবে ঘুড়ির মতাে করে গ্লাইডারটা কিছু দূর টেনে নিয়ে যেতে।
কে গ্লাইডারে প্রথমে উঠবে তা লটারি করা হলো। অরভ জিতলো। প্রথমে তারই গ্লাইডারে চড়বার পালা। | অটো লিলিয়েনথল এবং আরও যারা গ্লাইডারে উড়বার চেষ্টা করেছেন তারা সবাই গ্লাইডারের নিচের পাখার উপর সােজা হয়ে বসতেন।
উইলবারের মনে পড়ল, মায়ের শেখানাে সেই বাতাসের চাপের কথা। আরাে মনে পড়ল, নিচু হয়ে বসায় তাদের স্লেড কত দ্রুত চলেছিল। উইলবার তাই অরভকে বলে দিলো, পাখার উপর শুয়ে পড়তে, তাতে বাতাসের চাপ কম লাগবে। | অরভ তাই করল। একটা বালির টিবির উপর গ্লাইডারটা রাখা হলাে। গ্লাইডারের এক পাশে দাঁড়াল উইলবার, আরেক পাশে কিটি হকের পোস্ট মাস্টার মি. টেট।
দুই পাশে দুটি শক্ত দড়ি ধরে তারা দাঁড়ালো। উইলবার মি, টেটকে বুঝিয়ে বলল, দড়ি ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকলে গ্লাইডার ঘুড়ির মতােই এক সময়ে উপর দিকে চলে যাবে। তৈরি ? প্রথমে গ্লাইডারের দড়ি ধরে উইল আর মি. টেট দৌড়ালেও কোনােই ফল হলাে না।
তারা আরও দ্রুত দৌড়তে লাগল। এমন সময় হঠাৎ শুনতে পাওয়া গেল, অরভের চিৎকার,’আমি উড়ছি, উড়ছি!’
দেখা গেল, জমি থেকে গ্লাইডার পাঁচ ফিট উপরে উঠেছে। তারপরে আধ ফিট। এর পরে দড়ি ছেড়ে দিতেই গ্লাইডার প্রায় একশ ফিট উপরে গিয়ে উঠল। এমন সময় বাতাসের ঝাপটায় গ্লাইডার উলটে গেলো। একটু পরেই সেটা এসে মাটিতে পড়ল। অরভ ব্যথা পায়নি কিন্তু গ্লাইডারটার খুব ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তার জন্যে দুই ভাইয়ের মনে কোনাে দুঃখ নেই। |
এরপরে গ্লাইডারের ব্যালেন্সের জন্য তারা তিন দিনের মধ্যেই একটা রাডার তৈরি করে ফেলল। সেটাকে লাগালো গ্লাইডারের সামনের দিকে। পিছনে থাকলে চালকের ইচ্ছে মতাে সেটা উপর নিচ করা যায় না।
এরপরে তারা মন দিলো শক্তিশালী একটি ইঞ্জিন তৈরিতে। এটা সহজই কিন্তু ওজনে হালকা ইঞ্জিন তৈরি করা মােটেই সহজ নয়।অরভের মাথায় এলো অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে ইঞ্জিন তৈরি করতে পারা যায় কি না।
সত্যিই তা কাজে দিলো। কাঠ দিয়ে তৈরি হলো প্রপেলার বা পাখা। তাদের সেই প্রথম উড়ােজাহাজের চাকা ছিল না। বালির উপর দু’খানা কাঠ পেতে তারা মেশিনটি এনে রাখল। এখান থেকেই মেশিন আকাশে উড়ানাে হবে।
১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর। প্রথমে কে উড়বে তা লটারি করা হলাে একটা-টাকা দিয়ে। এবারেও অরভিল জিতলো।
প্রােপেলার ঘুরে উঠলাে। গ্লাইডারটা প্রথমে একটু নড়ে উঠল, কাঠের উপর এগিয়ে গেলো খানিকটা, তারপর প্রথমে সামনের দিকটা উচু হয়ে উঠল, পরে বাকিটা।
দেখতে দেখতে গ্লাইডার দশ ফিট শূন্যে গিয়ে উড়তে লাগল। প্রায় একশ ফিট গিয়ে গ্লাইডারটা আস্তে আস্তে বালির উপর এসে পড়ল। এভাবেই আকাশে উড়লো মানব ইতিহাসের প্রথম সফল উড়োজাহাজ।
লিখেছেন - ওয়াসিফা জান্নাত