ছেলেটি রাতে ঘুমাতে পারতো না।রাতে চোখ বুজলেই ধরফরিয়ে উঠে পড়তো।সকালের আলো না দেখলে ঘুমাতে পারতো না।৬ বছর হয়ে গেলো মাত্র ১০৪.৫০ ক্রেডিট কম্পিলিট।হতাশ হয়ে পরতো।বন্ধুবান্ধব সবাই ২ বছর আগে চলে গেছে।একাকী নিঃসংগতায় রাত আর কাটে না।রাত ২-৩ টা বাজলে পকেট গেট অথবা মেইন গেটের খোকনের দোকানে বসে সময় পার করতো।।
সময়ের কাজ সময়ে শেষ না করার যে প্যারা ছেলেটি হাড়ে হাড়ে বুজতেছিলো।না আর সহ্য করা যায় না।ছেলেটি সার্টিফিকেট এর আশা ছেড়েই দিয়েছিলো।১৯ টা থিওরি আর ৬ টা ল্যাব। Do or Die.এবার শেষ চেষ্টা করে দেখি।একাত্তর সালে বাংলার দামাল ছেলেরা যেমন জুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলো ঠিক সেইভাবে ছেলেটি পড়াশুনায় ঝাপিয়ে পড়লো।
ছেলেটি পেরেছিলোও।মাত্র সাড়ে ৩ মাসে ৫৮.৫০ ক্রেডিট কম্পিট করলো। এই ৫৮.৫০ ক্রেডিতে বি গ্রেড এর নিচে কোন রেজাল্ট ছিলো না।
ছেলেটির যখন ১০৪.৫০ ক্রেডিট তখন সিজিপিএ ছিলো ৩.০৪ আর যখন পুরা ক্রেডিট কম্পিলিট করলো তখন তার সিজিপিএ দাড়ালো ৩.০১।ছেলেটি নিজের রেজাল্ট নিজেই বিশ্বাস করতে পারতেছিলো না।
ছেলেটি যখন সার্টিফিকেট হাতে পেলো তখন তার কাছে মনে হলো " একজন ব্যাকলগধারী ছাত্রের কাছে সার্টিফিকেট পাওয়া মনে হয় ডিপার্টমেন্টে প্রথম স্থান অধিকারী করা ছাত্রের থেকেও বেশি সুখকর"।
ছেলেটির কথা আপনাদের কাছে এই জন্যই বলতে চাচ্ছিলাম যে ছেলেটি তার ব্যাচের থেকে আড়াই বছর পরে জব লাইফ শুরু করার পরেও সে মাত্র সাড়ে ৩ বছরে ৬ টা গ্রুপ ফ্যাক্টরির ডিপার্টমেন্ট হেড।
এই যোগ্যতা কিন্তু ছেলেটির নিজের নয়।মহান রব একান্ত দয়া করে তাকে এই যোগ্যতা দিয়েছেন।
পরিশেষে ছোট ভাইদের কাছে একটা কথা বলতে চাই ব্যাকলগ খেলে হতাশ হবে না।মনে রাখবে একাত্তর সালে বাংলার পিছিয়ে পড়া দুরন্ত ছেলেরাই কিন্তু দেশটা স্বাধীন করে এনেছিলো। একাত্তরের সকল সৈনিকদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে সকলের সর্বাজ্ঞীন সফলতা কামনা করতেছি।
-মেহেদি হাসান তুষার
-মেহেদি হাসান তুষার