Featured

BiologyNewsPhysicsSubject

বিজ্ঞান কথা (পর্ব-২)

, ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০১৯ WAT
Last Updated 2021-03-25T05:32:16Z

আমাদের চারপাশের মহাবিশ্ব ও প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনার কার্যকারণ জানার চেষ্টা করে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে মূল পাঁচটি শাখা রয়েছে- রসায়ন, মহাকাশবিদ্যা, ভূবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান।


প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনাবলি বিষয়ে আলোচনা হয়। পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রকৃতি বিজ্ঞানে প্রাকৃতিক ঘটনাবলির বিস্তারিত বিবরণ, কার্যকারণ, পূর্বাভাস থাকে। প্রকৃতি বিজ্ঞানে পৌনপুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের যৌক্তিকতা ও কার্যকারিতা করা হয়ে থাকে।
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের দুইটি প্রধান ভাগ রয়েছে: জীববিজ্ঞান এবং ভৌত বিজ্ঞান। ভৌত বিজ্ঞানের অনেক শাখা রয়েছে। যেমন- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, মহাকাশ বিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান ইত্যাদি। এসব শাখার আবার একাধিক অধিশাখা রয়েছে।
পাশ্চাত্য দর্শনে, নিরীক্ষা নির্ভর বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে যৌক্তিক বিজ্ঞানের (ফর্মাল সায়েন্স) নীতি ব্যবহৃত হয়; যেমন- গণিত, যুক্তিবিদ্যা। প্রকৃতির কার্যকারণের নিয়মাবলি গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা হয়ে থাকে, যেগুলো প্রকৃতির নীতি হিসেবে পরিচিত। সামাজিক বিজ্ঞানেও এধরণের যৌক্তিক বিজ্ঞানের নীতি ব্যবহৃত হয়, তবে তা মূলত গুণগত গবেষণার উপর জোর দেয়। অন্যদিকে প্রকৃতি বিজ্ঞান পরিমাণগত ও বাস্তব নিরীক্ষার উপর অধিক নির্ভরশীল।
আধুনিক প্রাকৃতিক বিজ্ঞান প্রাকৃতিক দর্শনের ঐতিহ্যগত নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত। এসব ঐতিহ্যগত নীতি প্রাচীন গ্রীক দর্শন, গ্যালিলিও, রনে দেকার্ত, ফ্রান্সিস বেকন, নিউটনীয় বিজ্ঞান হতে উৎসারিত। নিউটন প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে গাণিতিক ও নিরীক্ষাগত পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছিলেন। তবে তা সত্ত্বেও, বর্তমানে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে দার্শনিক মত, অনুমান নির্ভর তত্ত্বের প্রয়োজনীয় ব্যবহার রয়েছে। ১৬শ শতকে পদ্ধতিগত তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধানের ফলে প্রাকৃতিক ইতিহাসের সমৃদ্ধি ঘটে। বর্তমান যুগে প্রাকৃতিক ইতিহাস প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনার পর্যবেক্ষণগত কারণ ও নীতি বর্ণনা করে থাকে, যা বিজ্ঞান শিক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
তথ্য সূত্র ঃ উইকিপিডিয়া সহায়ক ।