Featured

HSCPDFStudyTechnology

ডেটাবেজ কি? ডেটাবেজ এর ব্যবহার

, মে ২৬, ২০২০ WAT
Last Updated 2022-10-28T05:32:15Z
ডেটাবেজ মডেল কি, প্রোগ্রামিং কি, কাকে বলে, প্রোগ্রামিং কোর্স, কিভাবে ডেটাবেজ তৈরি করা যায়, রিলেশন কি, ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বই pdf
ডেটাবেজ মডেল

ডেটাবেজ কি? ডেটা একটি ল্যাটিন শব্দ Datam এর বহুবচন Data শব্দের অর্থ হচ্ছে উপাত্ত এবং Base শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাটি। অর্থ্যাৎ Database শব্দের অর্থ হচ্ছে উপাত্তের সমাবেশ। ডেটাবেজ এর ব্যবহার অনেক । ডেটাবেজ কি এবং ডেটাবেজ এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে শিখবো ।


ডেটাবেজ এর ব্যবহার সুবিধা

  • ডেটাবেজ এর ব্যবহার করলে আতিদ্রম্নত ডেটা উপস্থাপন করা যায়।
  • ডেটাবেজ এর ব্যবহার করলে অত্যমত্ম দক্ষতার সাথে ডেটা পরিচালনা করা যায়
  • ডেটাবেজ এর ব্যবহার করলে সংরক্ক্ষক ডেটাকে পরবর্তীতে আবডেট করা যায়
  • ডেটাবেজ এর ব্যবহার করলে তথ্যসমুহকে এসেনডিং ও ডিসেনডিং আকারে সাজানো যায়
  • ডেটাবেজ এর ব্যবহার করলে প্রক্রিয়াকরণ দ্রম্নত হয়
  • ডেটাবেজ এর ব্যবহারের ফলে প্রক্রিয়াকরণ স্বাধীন হয়

ডেটাবেজ এর ব্যবহার অসুবিধা

  • ডেটাবেজ এর ভুল ব্যবহারে ভুল ডেটার কারণে অনেক সময় প্রক্রিয়াকরণ ধীর গতি সম্পন্ন হয়
  •  কিছু কিছু ভুল ডেটা সম্পূর্ন ডেটাবেজকে নষ্ঠ করতে পারে
  • অভিজ্ঞ জনশক্তির ব্যবস্থা রাখা লাগে
  • ডেটা নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা লাগে


 ডেটা এনটিটি (Entity) ও ডেটা এট্রিবিউট


ডেটা এনটিটি (Entity)


ডেটা এনটিটি (Entity) বাসত্মব বা অবাসত্মব বস্ত্ত আদর্শগত শ্রেণীকরনের  জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান একক হলো এনটিটি। এনটিটি সেট হল কতকগুলো সমজাতীয়, এনটিটির সমাবেশ। যেমন-ডাটাবেসের অমতর্গত ডেটা ফাইল সমূহকে এক একটি এনটিটি সেট বলা হয়।


ডেটা এট্রিবিউট


ডাটাবেসের অমতর্গত ডেটা ফাইলের রেকর্ডের মধ্যস্থিত প্রত্যেকটি ফিল্ডকে এক একটি অ্যাট্রিবিউট বলা হয় যা কতগুলো অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত। যেমন - Employee ফাইলের ফিল্ডগুলো হতে পারে নাম, পদবী, মূল বেতন। সুতরাং এখানে নাম, পদবী, মূলবেতন হবে অ্যাট্রিবিউট।


প্রাইমারী কী, ফরেন কী ও কম্পোজিট প্রাইমারী কী


ডেটাবেজের একটি ফাইল এক বা একাধিক ফিল্ড নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে। ফিল্ডগুলোর মধ্যে সাধারণত এমন একটি ফিল্ড থাকে যার ডাটাগুলো অদ্বিতীয় অর্থাৎ ঐ ফিল্ডের প্রতিটি ডাটা ভিন্ন ভিন্ন হয়। সুতরাং যে ফাইলের একটি ফিল্ডের একটি ডাটার সাথে অন্য ডাটার মিল নেই অর্থাৎ প্রতিটি ডাটা ভিন্ন ভিন্ন সেই ফিল্ডকে প্রাইমারি কী ফিল্ড বলে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কোন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর, যে কোন একটি ব্যাংকে গ্রাহকদের একাউন্ট নম্বর।


ফরেন কী বা সেকেন্ডারি কি

যদি কোন ডেটাবেসের একটি ফাইলের কোন একটি ফিল্ড অন্য কোন ফাইলের প্রাইমারী কী ফিল্ড এর সাথে মিলে যায় তা হলে ঐ ফিল্ডকে বলা হয় ফরেন কী ফিল্ড। অন্যভাবে বলা যায় কোন ডেটা টেবিলের একটি কলাম যদি অন্য কোন ডেটা টেবিলের প্রাইমারী কী এর সাথে মিলে যায় তা হলে ঐ প্রাইমারী কী এর অনুরূপ কী ফিল্ডটি কে ফরেন কী বলা হয়।


কম্পোজিট প্রাইমারী কী ফিল্ড

অনেক ক্ষেত্রে কোনো ডাটাবেস ফাইলে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রাইমারী কী ফিল্ড থাকে না। এ ক্ষেত্রে একাধিক পৃথক পৃথক ফিল্ডের সমন্বয়ে প্রাইমারী কী ফিল্ড নির্বাচন করা হয়। সুতরায় পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত দুটি ফিল্ডের সমন্বয়ে গঠিত প্রাইমারী কী কে কম্পোজিট প্রাইমারী কী ফিল্ড বলা হয়।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS)


ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম


ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা DBMS এমন একটি সফ্টওয়্যার যা ডেটাবেস তৈরি, পরিবর্তন, সংরক্ষণ এবং পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত হয়।উদাহরন ঃ  বর্তমানে অনেক ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার প্রচলিত আছে।

যেমন -
  • FoxPro
  • Ms Access
  • Oracle

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা DBMS এর প্রাথমিক কাজ

  • প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটাবেস তৈরি করা ।
  • ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রন করা ।
  • নতুন ডেটা ইনপুট করা।
  • ডেটার বানান ও সংখ্যার ভুল অনুসন্ধান ও সংশোধন করা।
  • অপ্রয়োজনীয় ডেটা বা রেকর্ড বাদ দেওয়া।
  • চুড়ামত্ম সম্পাদনার কাজ করা।
  • প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটা বা রেকর্ড অনুসন্ধান এবং ব্যবহার করা ।
  • প্রয়োজনে ডেটাবেসকে কোন ফিল্ডের ভিত্তিতে বর্নক্রমিক, সংখ্যাক্রমিক, পদবী বা উপাধি ভিত্তিক বা অন্য কোনভাবে বিন্যস্ত করা।
  • রিপোর্ট তৈরি এবং প্রয়োজনীয় ডেটাবেসের প্রিন্ট নেওয়া।
  • ডেটার নিরাপত্তা বিধান করা।
  • ডেটা সংরক্ষন করা।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রিলেশন বা RDBMS কী ? RDBMS বৈশিষ্ঠ্য


ডেটাবেজের মধ্যাকার সম্পর্ক বা  Relational Database Management System কে সংক্ষেপে RDBMS বা ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রিলেশন বলে। এই ক্ষেত্রে ডেটাবেজ দুই বা  দুইয়ের অধিক ডেটা  টেবিল থাকে এবং ডেটা টেবিলগুলোর মধ্যে কোন ফিল্ডের ভিত্তিতে সম্পর্ক থাকে।

রিলেশনাল ডেটাবেজ তৈরির ক্ষেত্রে গুরম্নত্বপূর্ণ সফটওয়্যারগুলো হচ্ছে- Microsoft Access, Microsoft Visual FoxPro, Oracle, SQL Server, My SQL, dBase ইত্যাদি হলো ডেটাবেজ রিলেশন এর সফটওয়্যার ।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রিলেশন বৈশিষ্ট্য



  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে খুব সহজে ডেটা টেবিল তৈরি করে ডেটা এন্ট্রি করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে সহজে এক ডেটাবেজ থেকে অন্য ডেটাবেজে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে অসংখ্য ডেটার মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা সহজেই খুঁজে বের করা যায়।
  • ডেটা ভ্যালিডেশনের সাহায্যে ডেটা এন্ট্রি নিয়ন্ত্রন করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে সহজে নানা ফর্মেটের রিপোর্ট ও লেবেল তৈরি এবং মুদ্রন করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে সংখ্যাবাচক ডেটার সুক্ষ্ণ গানিতিক কাজ করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে ডেটার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে সহজেই গ্রাফিক্যাল ডেটা এন্ট্রি ফরম তৈরি করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে অন্যান্য প্রোগ্রাম থেকে ডেটা এনে তা ব্যবহার করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে অন্য প্রোগ্রামের ফাইলের সাথে লিংক স্থাপন করা যায়।
  • ডেটাবেজ রিলেশন ব্যবহারের ফলে সহজেই অ্যাপিস্নকেশন সফ্টওয়্যার তৈরি করা যায়।

ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার



  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় এয়ার লাইন্স টিকেটিং এবং ফ্লাইটের সিডিউলিং এর ক্ষেত্রে
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় ব্যাংক ও বীমায় গ্রাহকদের হিসাব সংরক্ষনের ক্ষেত্রে
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় হাসপাতালে রোগীদের রেকর্ড সংরক্ষনের জন্য
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় ইলেকট্রনিক কমার্সে
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমে
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় শিক্ষা প্রতিষ্টানে স্টুডেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরিতে
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় জনসংখ্যার তথ্য সংরক্ষণে
  • কোন প্রতিষ্ঠানের ইনভেন্টরী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরিতে
  • ডেটাবেজ রিলেশনের ব্যবহার হয় অন্যান্য যে সব ক্ষেত্রে বিশাল ডেটা নিয়ে কাজ করেতে হয় সে সব ক্ষেত্রে


ডেটাবেসের বিভিন্ন প্রকার ফিল্ডের ডেটা টাইপ


কম্পিউটার ডেটা নিয়ে কাজ করে। এই ডেটার টাইপ বা প্রকৃতি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। নিচে বিভিন্ন প্রকার ডেটা টাইপ সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

টেক্সট বা ক্যারেক্টর


টেক্সট বা ক্যারেক্টর টাইপের ফিল্ডে বর্ণ, চিহ্ন বা সংখ্যা ব্যবহার করা যায়। এ ফিল্ডে সর্বোচ্চ ২৫৫ টি বর্ণ বা চিহ্ন বা অংক বা সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করা যায়।

নিউমেরিক বা নাম্বার


নিউমেরিক টাইপের ফিল্ডে সংখ্যা ব্যবহার করা যায়। এই ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে গানিতিক অপারেশন যেমন যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি করা যায়।

ইয়েস/নো বা যুক্তিমূলক


এই ফিল্ডে ইয়েস/নো বা সত্য/মিথ্যা এ ধরনের তথ্য হতে পারে। এই ধরনের ফিল্ডকে লজিকাল ফিল্ড বলে। এই টাইপের ফিল্ড মেমরিতে ১ বিট জায়গা দখল করে।

তারিখ/সময়

এই ফিল্ডটি তারিখ বা সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। তারিখ ও সময় বিভিন্ন ফরমেটের হতে পারে। এই ফিল্ডটির জন্য মেমরিতে ৮ বাইট জায়গা প্রয়োজন।

মেমো

বিবরনমূলক লেখা বা বর্ননার জন্য এই ফিল্ড ব্যবহার করা হয়। এই ফিল্ডে ৬৫,৫৩৫ টি ক্যারেক্টও লেখা যায়।

কারেন্সী

মুদ্রা বা টাকা সংক্রান্ত ডেটা ইনপুট করার জন্য এই ফিল্ড ব্যবহার করা হয়। এই ফিল্ডের ডেটার উপর গানিতিক হিসাব-নিকাশ করা যায়। এই ফিল্ডের জন্য মেমরিতে ৮ বাইট জায়গা প্রয়োজন।

Hyperlink

কোন ফিল্ডে ডেটা এন্ট্রির জন্য হাইপারলিংক ব্যবহার করা হয়। কোন ফাইল থেকে ডেটা ইনপুট নেওয়ার জন্য সেই ফাইলের সাথে হাইপার লিংক করতে হয়।

একজন ব্যবহারকারি ডেটাবেজ ব্যবহার করছেন
একজন ব্যবহারকারি ডেটাবেজ ব্যবহার করছেন


ডেটাবেজের রিলেশন


একটি ডেটা টেবিলের ডেটার সাথে অন্য এক বা একাধিক ডেটা টেবিলের ডেটার সম্পর্ককে ডেটাবেজ রিলেশন বলে।

ডেটাবেজ রিলেশনের প্রকারভেদ

  • One to One রিলেশন
  • One to Many রিলেশন
  • Many to One রিলেশন
  • Many to Many রিলেশন

One to One রিলেশন


যদি ডেটাবেজ একটি ফাইলের একটি রেকর্ড অপর কোন ফাইলের কেবলমাত্র একটি রেকর্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকে, তখন তাকে One to One রিলেশন বলা হয়।

যেমন- কলেজে ছাত্রদের তথ্য সংক্রামত ডেটাবেসে ছাত্রদের পরীক্ষা বিষয়ক ফাইলে ফিল্ড সমূহ - নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর এবং ছাত্রদের ব্যক্তিগত তথ্যের ফাইলে ফিল্ড সমূহ - রোল নম্বর, পিতার নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা ইত্যাদি। এখানে পরীক্ষা বিষয়ক ফাইলের একটি রেকর্ড ব্যক্তিগত তথ্যের ফাইলের একটি রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত।

One to Many রিলেশন

যদি ডেটাবেজের কোন এটি ডেটা ফাইলের একটি রেকর্ড অপর কোন ফাইলের একাধিক রেকর্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয় তখন তাকে One to Many রিলেশন বলা হয়।

ধরা যাক, কোন অফিসে বিভিন্ন সাপস্নাইয়ার বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে। এক্ষেত্রে সাপস্নাইয়ারদের জন্য Supplier  নামে একটি ডেটাবেজ বয়েছে এবং পণ্য সরবরাহ সংক্রামত তথ্যাবলির জন্য¨ Order নামে আর একটি ডেটাবেজ তৈরি করা আছে। সাধারণত একজন সাপস্নাইয়ার বিভিন্ন রকম পণ্য সরবরাহ করে থাকে। ফলে Supplier ডাটাবেজের একটি Supplier ওই নম্বরের বিপরীতে Orders ডেটাবেজে একাধিক লেনদেন সংরক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে ডেটাবেজ দুইটির মধ্যে রিলেশন প্রতিষ্ঠা করতে হলে তা হবে One to Many রিলেশন।

Many to One রিলেশন

যদি কোন ডেটাবেজে একটি ফাইলের একাধিক রেকর্ড অন্য ফাইলের একটি রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত থাকে তাকে Many to One রিলেশন বলা হয়।

যেমন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের, Phone.dbf এবং Office.dbf নামক দুইটি ডেটাবেস আছে। প্রত্যেক অফিসের জন্য একাধিক ফোন নম্বর আছে এবং Phone dbf এর সাথে Office dbf এর রিলেশনাল স্ট্রাকচারটি হবে একটি Many to One রিলেশন।

Many to Many রিলেশন


যদি ডেটাবেসের অমতর্ভূক্ত কোন একটি ডেটা ফাইলের একাধিক রেকর্ড অপর কোন ডেটা ফাইলের একাধিক রেকর্ডের সাথে সম্পর্কিত হয় তখন তাকে Many to Many রিলেশন বলা হয়। Many to Many রিলেশনশীপ তৈরি করতে হলে তৃতীয় একটি টেবিল তৈরি করতে হয়।


ডেটাবেজ ইনডেক্সিং


ডেটাবেজের ডেটা ফাইলে ইনপুটকৃত রেকর্ডসমূহকে নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানোর পদ্ধতিকে ইনডেক্সিং বলে।
ডেটাবেজ থেকে ব্যবহারকারী কোন ডেটা যাতে তাড়াতাড়ি খুঁজে বের করতে পারে সেজন্য ফাইলের রেকর্ডগুলোকে আরোহী (Ascending) বা অবরোহী (Descending) অর্ডারে সাজিয়ে রাখা হয়। ডেটাবেজের রেকর্ড সমূহকে এরূপ কোন যুক্তিসঙ্গত অর্ডারে সাজিয়ে রাখার পদ্ধতিকে ইনডেক্সিং বলে।

সর্টিং করেও ডেটা ফাইলের রেকর্ডকে সাজানো যায় তবে সটিংর্ করা ফাইলকে অন্য নামে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তীতেডেটাবেজেরকোনরেকর্ড সংশোধন বা সংযোজন করলে তা সর্ট করা ফাইলে আপডেট হয় না।

প্রথম টেবিলটি হল ইনডেক্স করার পূর্বের অবস্থা। আর দ্বিতীয় টেবিলটি ইনডেক্সিং এর পরের অবস্থা। এখানে Name ফিল্ড এর উপর Ascending অর্ডারে ইনডেক্স করা হয়েছে।


ডেটাবেজ ইনডেক্সিং এর সুবিধা


  • সহজে ডেটা খোঁজা
  • ইনডেক্স করার পরে সহজে ডেটা খুজে বের করা যায়।
  • সয়ংক্রীয়ভাবে ডেটাবেজের ডেটা আপডেট হওয়া
  • ইনডেক্স করার পরে ডেটাবেজে নতুন কোন রেকর্ড ইনপুট করা হলে ও ইনডেক্স ফাইল  স্বংয়ক্রীয়ভাবে আপডেট হয়।
  • ডেটাবেজে বিভিন্ন অপারেশনের দক্ষতা বৃদ্ধি
  • ডেটাবেজে রেকর্ডের উপর বিভিন্ন অপারেশন যেমন- Searching, Shorting, Queries ইত্যাদি খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করার জন্য ইনডেক্সিং করা হয়।
  • মূল ফাইল অপরিবর্তিত রাখা
  • ইনডেক্স ফাইল মূল ডেটাবেজ ফাইলের কোনরূপ পরিবর্তন না করে বিভিন্ন ভাবে সাজাতে পারে।


ডেটাবেজ ইনডেক্সিং এর অসুবিধা

বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থাকার পাশাপাশি ইনডেক্সিং এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যদি একটি ফিল্ডের উপর ইনডেক্সিং করা থাকে তবে ডাটা টেবিলের ডাটা এডিট করলে কিংবা ডেটা টেবিলে নতুন রেকর্ড যোগ করলে প্রোগ্রাম সয়ংক্রিয়ভাবে ইনডেক্স ফাইল আপডেট করে এবং এর জন্য খুব কম সময় লাগে। কিমতু দুই বা ততোধিক ফিল্ডের ভিত্তিতে ইনডেক্স করা হলে সময় বেশি লাগে। ফলে ইনডেক্স ফাইলের হিসাব রাখতে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ইনডেক্স ফাইলও মেমোরিতে অনেকখানি জায়গা দখল করে। 


DDL ও DML


DDL

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ডেটা সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, ডেটাবেজ ফাইল তৈরি, ডেটাবেজ ফাইলের পরিবর্তন, ডেটাবেজ ফাইল ডিলিট করা ইত্যাদি কাজে যে ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয় তাকে Data Definition Language বা DDL বলে।

ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডেটাবেস ব্যবহারকারীকে যে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে, তার মধ্যে DDL খুবই গুরম্নত্বপূর্ন।


DDL এর প্রধান কাজগুলো হল


  • ডেটাবেজের ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় টেবিল এবং অন্যান্য অবজেক্ট তৈরি করা।
  • টেবিল বা অন্যান্য অবজেক্ট পরিবর্তন করা।
  • টেবিল বা অন্যান্য অবজেক্ট ডিলিট করা।

SQL একটি Data Definition Language। SQL এর Create কমান্ড দিয়ে টেবিল বা অন্যান্য অবজেক্ট তৈরি করা হয়, Alter কমান্ড দিয়ে টেবিল বা অন্যান্য অবজেক্ট পরিবর্তন করা হয় এবং Drop কমান্ড দিয়ে টেবিল বা অন্যান্য অবজেক্ট ডিলিট করা হয়।


DML

Data Manipulation Language এর সংক্ষিপ্ত রূপকে DML বলে। ডেটাবেজে ডেটা Insert, Update কিংবা Delete করার জন্য যে Language ব্যবহার করা হয় তাকে Data Manipulation Language বা DML বলে।

DML এর সাহায্যে তিনটি কাজ করা যায়

  • ডেটাবেজে নতুন কোন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা - এ জন্য Insert Operation
  • ডেটাবেজ থেকে কোন তথ্য মুছে ফেলা - এ জন্য Delete operation
  • ডেটাবেজের কোন তথ্য আপডেট করা - এ জন্য Update Operation

ফর্মেটেড রিপোর্ট


ডেটাবেজ থেকে প্রয়োজনীয় ডেটাসমূহ মুদ্রন নেওয়ার জন্য ডেটাবেস থেকে রিপোর্ট প্রনয়ন করা হয়।রিপোট যাতে ব্যবহারকারীর কাছে বুঝতে সহজ হয় সেজন্য রিপোর্ট করার সময় অতিরিক্ত কিছু বৈশিষ্ট্য রিপোটের সাথে যোগ করে রিপোর্টকে ফরমেট করা হলে তাকে ফরমেটেড রিপোর্ট বলে।


ফরমেটেড রিপোর্টের বিভিন্ন অংশ

  • Report Header
  • Page Header
  • Detail
  • Page Footer
  • Report Footer


Report Header

রিপোটের টাইটেল বা হেডলাইন প্রদর্শিত হয় এই অংশের মাধ্যেমে। চলমান টাইটেল পরিবর্তন করা যায় কিংবা নতুন টাইটেল সংযোজন করা যায়। ছাপানোর সময় টাইটেল প্রধম প্রৃষ্ঠার প্রথমে ছাপানো হয়।


Page Header

প্রতি প্রষ্ঠার উপরে ডেটা হেডিং এখানে প্রদর্শিত হয়্ । যেমন- L/C No, Quantity, item code ইত্যাদি এক একটি ফিল্ড যা ডেটা হেডিং হিসেবে প্রতি পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়।

Detail

রিপোর্টের ফলাফল বা ডেটাসমূহ এই অংশে প্রদর্শিত হয়।

Page Footer

রিপোর্টের প্রতি পৃষ্ঠায় নিচের অংশে কোন অংশ সংযোজনের প্রয়োজন হলে তা এই অংশে সংযোজন করা হয়। যেমন- পৃষ্ঠা নং, বা কোন চিহ্ন (যেমন P.T.O) ইত্যাদি।

Report Footer

সমগ্র রিপোর্টের সারমর্ম এই অংশে প্রদর্শিত হয়। যেমন- মোট যোগফল, রেকর্ড সংখ্যা ,পৃষ্ঠা সংখ্যা ইত্যাদি।


রিপোর্ট


ডেটাবেজের ডেটা টেবিলে ডেটা বিভিন্নভাবে সাজানো থাকে। ডেটাবেজ থেকে প্রয়োজনীয় ডেটাসমূহ প্রতিবেদন আকারে প্রদর্শনের ব্যবস্থাকে রিপোর্ট বলে।

রিপোর্ট ৬ প্রকার


  • ডিটেইল রিপোর্ট (Detail Reports)
  • সামারি রোপোর্ট (Summary Reports)
  • ক্র্শ ট্যাবুলেশন রিপোর্ট (Cross Tabulation Reports)
  • রিপোর্টস উইথ গ্রাফিক্র্ এন্ড চার্ট (Reports with Graphics and Chart)
  • রিপোর্টস উইথ ফর্মস (Reports with Forms)
  • রিপোর্টস উইথ লেবেল (Reports with Labels)

------------

Related search - database, database management, database management system , ict intermediate full book pdf download,
ডাটাবেজ কি
ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
ডাটাবেজ কাকে বলে
ডাটাবেজ ল্যাংগুয়েজ
ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং
ডাটাবেজ সার্ভার কি
ডাটাবেজ সফটওয়্যার কোনটি
ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কি