Featured

AstronomyNewsResearchSpace

রুয়েট শিক্ষার্থীদের নাসায় (NASA) রোভার চ্যালেঞ্জে চমক!

, এপ্রিল ১৫, ২০১৯ WAT
Last Updated 2021-04-13T19:45:49Z

চাঁদের গাড়ি উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বপ্ন তাদের প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে একদিন চন্দ্রজয়ের। তাদের ওই গাড়িতে চড়ে আপনি দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারবেন চাঁদে। শুধু চাঁদে নয় মঙ্গলেও এটি চলতে সক্ষম। যেকোন পরিস্থিতিতে এটি চলতে সক্ষম। এমন একটি হিউম্যান রোভার উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রুয়েটের ওই তরুণ উদ্ভাবকরা। NASA Human Exploration Rover Challenge-2019 এ তারা সেরাটা দেখিয়ে দিয়েছেন। Annexe Ruet এর সদস্যরা বিশ্বের ১১৫ টিমের মধ্যে চমক দেখিয়েছেন। innovative idea তে সবাইকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়েছেন তারা।

সফলতার গল্পটা শুনিয়েছেন Annexe Ruet এর টিম লিডার রুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাসের নাহেদী আদর। ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম-কে তিনি জানালেন সফলতার কথা। তবে আক্ষেপ রয়েছে তাদের। কারণ তারা আরো ভালো করতে পারতেন যদি টেকনিক্যাল সমস্যা না হতো। ওই সমস্যার কারণে তারা প্রথমদিন প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে innovative idea তে সবাইকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়েছেন তারা। পরিবহনের সময় তাদের HUMAN ROVER ভেঙে যায়। সেটি ঠিক করতে করতেই বেশ সময় ব্যয় হয়। তাই তারা প্রথম দিন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। দুই দিনের কম্পিউটিশনে তারা ৬১তম হয়েছেন। প্রথম দিন তারা অংশ নিতে পারলে ফলাফলটা অন্যরকম হতো, কারণ প্রতিযোগিতায় দুইদিনের পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে রেজাল্ট নির্ধারণ করা হয়।
টিম লিডার আদর জানালেন, Annexe Ruet এ অপর সদস্যরা হলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইফতেখার আনাম, নাহিক কবির, শিহাব উদ্দিন, mechatronics এর মশিউর রহমান ও material science এর আফসানা বুশরা। উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন, ফজলুর রাশেদ ও নাঈম আহমেদ নিবিড়।

আদর জানালেন, গত ৮ এপ্রিল তারা নাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল তাদের event ছিল। Walton, BCS (Bangladesh computer shomity) এবং tenda তাদের স্পন্সর করেছে। তারা যে যন্ত্রটি নিয়ে গিয়েছিলেন সেটার নাম RAN-A। এটি একটি HUMAN ROVER যেটা দিয়ে মানুষ চাঁদে অথবা মঙ্গল গ্রহে গেলে সহজেই চলাফেরা করতে পারবেন। যেকোন surface এ এটা চলতে পারে। প্রতিযোগিতায় মাত্র ৭ মিনিটে দেড় কিলোমিটার রানওয়ে পার হতে হয়। কারণ চাঁদে বা space এ গেলে অক্সিজেন ট্যাংকে মাত্র ৭ মিনিটের অক্সিজেন থাকে। তাদের রোভার সেটা কমপ্লিট করতে পেরেছে সফলতার সঙ্গে। তবে সময় একটু বেশি লেগেছে টেকনিক্যাল কারণে। তাদের রোভার যদি ভেঙে না যেতো এই সমস্যা হতো না বলে জানিয়েছেন ওই তরুণ উদ্ভাবকরা।
টিম লিডার আদর জানালেন, তারা বিমানে করে এক্সট্রা চার্জ দিয়ে তাদের হিউম্যান রোভার আমেরিকায় নিয়ে গেছেন। তবে সেখানে নিউইয়র্ক থেকে অ্যালাবামা fedx এর মাধ্যমে সেটি পরিবহন করেছেন। সেখানেই সমস্যাটা হয়েছে। পরিবহনের সময় তাদের রোভারটি ভেঙে গেছে। পরে সেটি মেরামত করতে করতে তাদের বেশ সময় ব্যয় হয়েছে। নয়তো প্রতিযোগিতায় তাদের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। তবুও সামনের বার সেরাটা দেখাতে চান।
আদর জানালেন, সামনে তারা formula EV (Electric Vehicle) নিয়ে কাজ করবেন। সামনের বছরে তাদের তৈরি HUMAN ROVER আরো উন্নত করে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আদর। এজন্য তাদের প্রচুর ফান্ডের প্রয়োজন। কারণ টেকনিক্যাল নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রোভারে ভালো মানের পার্টসের প্রয়োজন হয়, যেটা তারা দিতে পারছেন না। পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করে সেরাদের সেরা হতে পারবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আগামী ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে এই তরুণ উদ্ভাবকদের।
লিখেছেন - সানিয়া নাসরিন, ক্যাম্পাসলাইভ২৪ থেকে।